নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশার হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার বাড়াই গোবিন্দ এলাকা থেকে রোববার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ৩১ বছরের হাসান, ২১ বছরের জয় ও ২৪ বছরের রুবেল উপজেলার ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নের মহবুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থলের পাশের খাল খেকে দুটি ধারালো কিরিচ ও একটি লোহার রড এবং প্রধান আসামি হাসানের প্রজেক্ট থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরও জানান, হাসিবুল বাশার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হাসিবুলের চাচা সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে হাসানকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামসহ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার ১০ নম্বর আসামি রকি ও ১১ নম্বর আসামি বাহার উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ মামলার এখন পর্যন্ত দুই দফায় মোট পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এর আগে পূর্ব শত্রুতার জেরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের সুবাহান মার্কেট এলাকায় বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. হাসিবুল বাশারকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে হাসান, মাসুম ও তাদের অনুসারীরা। এ সময় তাদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ২৫ বছরের হাসিবুল বাশারের বাড়ি বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামে। বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন তিনি।