বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদের দিনই সব বর্জ্য ভাগাড়ে: রাজশাহীর মেয়র

  •    
  • ১১ জুলাই, ২০২২ ১১:২৯

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। ঈদের দিন বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখতে পেয়েছি। কোরবানির স্থানগুলো পানি দিয়ে পরিষ্কার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে।’

গত কয়েক বছর ধরেই রাজশাহীর কোরবানির বর্জ্য ঈদের দিনই পরিষ্কার করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ। এবারও ঈদের রাতে পুরো শহরের কোরবানির বর্জ্য সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ বলছে, এক দিনে প্রায় ১২০০ টন বর্জ্য সরানো হয়েছে।

ঈদের দিন রোববার সকাল ১০টার পর থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হয়। রাত ২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ জানায়, ঈদুল আজহার দিন সকাল ১০টা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ১ হাজার ৩৭৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এই কাজে যোগ দেন। সকাল থেকে পাড়ার অলিগলি, বাড়ির সামনে রাখা বর্জ্য সংগ্রহ করেন তারা। সেই সঙ্গে যেসব জায়গায় পশু জবাই করা হয় সেসব স্থানে ছিটিয়ে দেয়া হয় ব্লিচিং পাউডার।

রিকশা-ভ্যানে করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য নিয়ে জমা করেন সেকেন্ডারি পয়েন্টগুলোতে। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে রাখা হয় সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ৫৮টি স্থানে।

বিকেলের মধ্যেই নগরীর পাড়া-মহল্লার বর্জ্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় শুরু হয় এসব জমানো বর্জ্য ট্রাকে করে ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর ঐতিহ্য চত্বর সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এরপর থেকে নির্ধারিত স্থানগুলো থেকে বর্জ্য সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৮টি ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়।

প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন জানান, রাত ২টার দিকে পুরো পরিচ্ছন্নতা কাজ শেষ করা হয়েছে। ঈদের সারা দিনে প্রায় ১ হাজার ২০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে। অন্যান্য সাধারণ দিনে এই বর্জ্য হয় প্রায় সাড়ে ৩০০ টন।

তিনি বলেন, ‘ঈদের পরদিন এবং তৃতীয় দিন পর্যন্ত অনেকেই কোরবানি দেন। এসব বর্জ্যও অপসারণ করবে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা। আজও সকাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

‘আমরা নগরবাসীকে আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে না ফেলে নির্ধারিত জায়গায় রাখার জন্য বলেছিলাম, এ ক্ষেত্রে মানুষ আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।’

বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো বিবৃতিতে এই ধন্যবাদ জানানো হয়।

মেয়র লিটন বলেন, ‘মহানগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য আমি রাজশাহী মহানগরবাসী এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

মেয়র আরও বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত স্থানের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি দিয়েছেন নাগরিকরা। ঈদের দিন বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখতে পেয়েছি। কোরবানির স্থানগুলো পানি দিয়ে পরিষ্কার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর