বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোরবানিদাতার আস্থা দেশি গরুতেই

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ২০:১৫

আফতাবনগর পশুর হাটে আসা গরুর ব্যাপারী সেলিম মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, দেখেন আমি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গরু কেনাবেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। নানা জাতের গরু বিক্রি করেছি। এতে আমি দেখতে পেয়েছি দেশি গরুগুলো সহজেই বিক্রি হয়ে যায়।

কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য দেশি-বিদেশি বা সংকর নানা জাতের গরু ওঠানো হয়। এ বছরও দেশি গরুর পাশাপাশি বিদেশি ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল, সিন্ধি, জার্সি, হলস্টিনের স্থানীয় সংকর জাতের গরু উঠেছে। এ ছাড়া সংখ্যায় কম হলেও কোথাও কোথাও উঠেছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা গরুও।তিন দশক ধরে বিদেশি উন্নত জাতের গরুর সঙ্গে দেশি জাতের সংকরায়ন চলছে। দুধের খামারগুলোতে এখন সংকর জাতের গরুর প্রাধান্য। তবে বিক্রেতা ও হাটসংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, কোরবানিতে দেশি গরুর বিক্রিই বেশি। আর হাটের বেশির ভাগ গরুই হলো দেশি জাতের।

বিদেশি জাতের বেশির ভাগ গরুই আকারে বিশাল। লাল-সাদা, কালচে সাদা এবং ডোরাকাটা ধূসর রঙের সংমিশ্রণের অধিকারী এদের দেখতে বেশ সুন্দর দেখালেও ক্রেতার কাছে তাদের চাহিদা কম।রাজধানীর আফতাবনগর পশুর হাটে আসা ব্যাপারী সেলিম মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, ‘আমি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গরু কেনাবেচায় সম্পৃক্ত আছি। দেশি গরুগুলো সহজেই বিক্রি হয়ে যায়।’

কারণটি নিজেই জানালেন সেলিম। বলেন, এসব গরু আকারে ছোট। একেকটির ওজন গড়ে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অপরদিকে কোরবানি দিতে সক্ষম এমন বেশির ভাগ মানুষ হলো মধ্যবিত্ত শ্রেণির। তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব-নিকাশটা খুব জটিল। সামর্থ্যের মধ্যে আকারে ছোট ও মাঝারি গরুই বেশি খোঁজেন। এ কারণে দেশি গরুর বিক্রি বেশি।এই হাটে গরু কিনতে আসা রামপুরার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘চার-পাঁচ লাখ টাকায় কোরবানি দেবেন দেশে এমন লোকের সংখ্যা কম। আবার যারা দিতে সক্ষম তারা ৫ থেকে ৭ লাখ টাকায় একটি গরু না দিয়ে তার চাইতে ছোট দুই-তিনটি গরু কোরবানি দিচ্ছেন। আমি নিজেও দুটি গরু কিনেছি। বড় গরু জবাই করা কঠিন কাজ।’প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর কোরবানির জন্য সারা দেশে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা প্রায় ৪৪ লাখ।সারা দেশে এবার গরু-ছাগল মিলিয়ে চাহিদা ৯৮ লাখের মতো বলে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির ধারণা।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের পর থেকে কোরবানিদাতারা দেশি পশু দিয়েই কোরবানি সারতে সক্ষম হচ্ছেন। এর আগে থেকে দেশের বাইরের পশু আসা বন্ধ রয়েছে।তিনি বলেন, হাটে যেগুলোকে বিদেশি জাত বলা হচ্ছে, সেগুলোও কিন্তু দেশি পশু। খামারিরা বিদেশি জাতের সঙ্গে দেশি পশুর সংকরায়নের মাধ্যমে জাত উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।দেশি পশুর মধ্যে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতার কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা চট্টগ্রামের লালজাত, মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম, ফরিদপুরের ক্রস হরিয়ানা, পাবনার লাল ক্যাটেল জাতের গরু।এসব গরুর আকৃতি এবং ওজন তুলনামূলক বেশি হয়। এর বাইরে সারা দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গৃহপালিত যেসব গরু আছে তাদের ওজন তুলনামূলক কম। ফলে দামও কম।

এ বিভাগের আরো খবর