ঈদের আগে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে তিল ধারণের জায়গা হতো না। দীর্ঘ অপেক্ষা আর ভোগান্তিতে হাঁসফাঁস করত ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ।
সেই চিত্র এখন আর নেই। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সহজ হয়ে গেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বাড়ি ফেরা। যাত্রী বা যানবাহন আর ফেরি বা লঞ্চের অপেক্ষায় নেই। ফেরি ও লঞ্চই অপেক্ষা করছে যাত্রীর জন্য।
পাটুরিয়ার পাঁচটি ঘাট এলাকা ঘুরে শনিবার দেখা যায়, যানবাহন খুব একটা নেই। কিছুক্ষণ পর পর কিছু যাত্রী আসছেন লঞ্চের জন্য। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছে লঞ্চ ও ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৯টি ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৬টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবারও যাত্রী ভালো ছিল। আজকে সকালে কিছু যাত্রী ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী একবারে কমে গেছে।
‘অথচ আগামীকাল ঈদ, আজকে লঞ্চে যাত্রী নাই। গতকালও ২২টি লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল। আর এখন যাত্রীদের জন্য লঞ্চ অপেক্ষা করছে।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘সকালে দু-একটি ফেরিতে যাত্রী দেখা গেলেও সকাল ১০টার পর থেকে ঘাটে খুব একটা যাত্রী ও যানবাহন দেখা যায় না। মাঝে মাঝে কিছু যানবাহন ফেরি পারের জন্য আসে। যাত্রীর সংখ্যাও খুব কম।
‘যাত্রী ও যানবাহন না থাকায় ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলাচল করছে। যে ফেরিগুলো চলছে সেগুলোও যাত্রী ও যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে। এখন যাত্রী ও যানবাহনের পরিবর্তে ফেরিই ঘাটে বসে রয়েছে।’