বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার কোরবানির গরু ‘ওমর সানী’ নামে

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ১৯:৩৭

গত ৫ জুলাই নিজের ফেসবুক পেজে গরুর নামকরণ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন ওমর সানী। তিনি লেখেন, ‘পবিত্র কোরবানির গরুর নাম কারও নামের সঙ্গে নামকরণ ঠিক নয়। ইসলামের সঙ্গে যায় না।’

গরুটা বিশাল আকারের এমন নয়। তবে সেটিকে ঘিরে হাটে তুমুল আগ্রহ। এমন লোকও পাওয়া গেছে এই গরুটিকে দেখতে দুটি হাটে ঘুরেছেন একজন।

এর কারণ, গরুটির নাম। খামারি বলেছেন, তার প্রিয় নায়ক ওমর সানী। তার নামেই নাম রেখেছেন।

কয়েকজন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামে গরুর নাম দেখে চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেছিলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। গরুর নামে মানুষের নাম রাখা উচিত নয়। এখন এটি শুনলে সানী দুঃখ পেতে পারেন।

গত ৫ জুলাই নিজের ফেসবুক পেজে গরুর নামকরণ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন ওমর সানী। তিনি লেখেন, ‘পবিত্র কোরবানির গরুর নাম কারও নামের সঙ্গে নামকরণ ঠিক নয়। ইসলামের সঙ্গে যায় না।’

ওমর সানীর পরামর্শ, ‘আফ্রিকাতে কিংবা বাংলাদেশে কিছু হায়েনা আছে, তাদেরকে ওই নামগুলো ট্রান্সফার করেন।’

এর আগে অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম, নায়ক জায়েদ খান ও শাকিব খানের নামে কোরবানির পশুর নাম রাখার বিষয়টি প্রকাশ পায়। তাই ক্ষোভ ঝাড়েন ওমর সানী।

গরুটি লম্বায় ৮ ফুট ৫ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ১২ মণ। সাদা ও কালো মিশ্রিত রঙের অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির দাম বিক্রেতা চাইছেন ৫ লাখ টাকা।

পশুটির নাম শুনেই হাটে যাওয়া ক্রেতারা ভিড় করছেন। খামারির সঙ্গে দরদাম করছেন।

শুরুতে গরুটি তোলা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের আনন্দবাজার হাটে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সেই হাটে বিক্রি হয়নি গরুটি। তাই নেয়া হয় আরেক হাট বৈদ্যার বাজারে। সেখানেও একইভাবে পশুটি দেখতে ভিড় করেছেন স্থানীয়রা।

গরুর মালিক আবু হানিফ। বাড়ি আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহারিয়া এলাকায়। তিনি বলেন, ‘আড়াই বছর ধইরা গরুটারে পালতাছি। খালি এইটা না, আরও একটা গরু আনছি হাটে। কিন্তু বিক্রি করতে পারি নাই। দামে বনে না।’

গরুটির নামের বিষয়ে জানতে চাইলে মুচকি হেসে হানিফ বলেন, ‘ওমর সানী আমার প্রিয় নায়ক। তার ছবি আগে দেখতাম, অনেক ভালো লাগত। আমার গরুটাও অনেক প্রিয়। তার জন্য ওমর সানী রাখছি।’

তিনি বলেন, ‘নাম শুনেই মানুষ গরুটা দেখতে আসে। অনেকে ছবি তুলে নিয়ে গেছে। সারাক্ষণ ভিড় করে রাখে। আমি কই, খালি দেখলে চলব? বিক্রি করব না? গরুটার দাম এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো উঠছে। আমি তো পাঁচ লাখ বেচতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ওমর সানীর পেছনে আমার অনেক খরচ হইছে। প্রতিদিন ১০ কেজি ভুসি, পাঁচ কেজি করে ঘাস, ভুট্টা ও খড় খাওয়ানো হইছে। আরও নানা ধরনের খাদ্য দেয়া হইছে। আশা করতাছি বেচতে পারুম।’

গরুটিকে দেখতে যাওয়া অপু দাস নামের এক যুবক জানান, ‘গরুর নাম শুনে আনন্দ বাজার হাটে গেছিলাম। কিন্তু সেখানে তো গরুটা নাই। হাটের লোকজনের কাছ থেকে জানলাম বৈদ্যারবাজার হাটে নিছে। এরপর এই হাটে গিয়া দেখি এখনও গরুটা আছে, বিক্রি হয় নাই।

‘মালিক কইল পাঁচ লাখে না বেচতে পারলে বাইত নিয়া যাইব গা। তাও কম বেচব না।’

হাটের ইজারাদার আব্দুল বাসেত বলেন, ‘হাটে অনেক বড় বড় গরু আসছে। তবে একটা গরুর নাম খামারি ওমর সানী রাখছেন। ওই গরুটার সামনে বেশি লোক জমে। গরুটার নাম শুনে আমি নিজেও গিয়া দেখে আসছি।

‘গরুর নাম জিজ্ঞাস করলে খামারি হাসে। বলে নামটা উনিই রাখছে। গ্রামেও নাকি এই নামে ডাকত।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার বলেন, ‘ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে মূলত খামারিরা গরুর নাম রাখেন। তারা মনে করে, গরু বড় ও মোটাতাজা হলে তার সঙ্গে সুন্দর একটা নাম দিলে ক্রেতা বাড়ে। ফলে গরুটিও বিক্রি হয়ে যায়।

‘তাছাড়া অনেক খামারি শখের বশে গরুর নামকরণ করেন। আসলে অনেক দিন লালন-পালন করে তো তাই মায়া বেড়ে যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর