পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ লঞ্চ ও ফেরিতে করে পারাপার নিষিদ্ধ হলেও বিশেষ বিবেচনায় ফেরি করে নদী পারের সুযোগ পেয়েছেন বাইকাররা।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের দুই নম্বর সারি থেকে ফেরি কুমিল্লায় করে মোটরসাইকেল পারাপার করা হয়।
আগে ফেরি কুঞ্জলতায় করে মোটরসাইকেলগুলোর পদ্মা পাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু নাব্য সংকটের কারণে ফেরি কুমিল্লায় করে পদ্মা পাড়ি দেন মোটরসাইকেলচালকরা। এর আগে নৌপথে পদ্মা পাড়ি দিতে সকাল থেকেই মোটরসাইকেলচালকদের তাদের পরিবার নিয়ে ঘাটে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, বিশেষ বিবেচনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি করে মোটরসাইকেল পারাপারের সিদ্ধান্ত হয়। ঘাটের দুই নম্বর সারি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পাড়ি দেয় ফেরি কুমিল্লা। আগে তিন নম্বর সারি থেকে ফেরি কুঞ্জলতা ছাড়ার কথা ছিল।
কিন্তু চ্যানেলের নাব্য সংকট থাকায় বড় ফেরির জায়গায় ছোট ফেরি কুমিল্লা মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা পাড়ি দেয়।
এর আগে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরের দিনই সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। সেতু দিয়ে ঈদের আগে আর বাইক চলাচলের সুযোগ দেয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মাওয়া পর্যন্ত গিয়ে ফেরি দিয়ে পদ্মা নদী পার হয়ে আবার বাইকে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন বাইকাররা। কিন্তু গত ৬ জুলাই নৌপথে দুই চাকার যানটি বহন নিষিদ্ধ করা হয়।
বলা হয় আগামী ১০ দিন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অর্থাৎ ঈদের পর আরও পাঁচ দিন লঞ্চে বা ফেরিতে করে বাইক পরিবহন করা যাবে না।
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত আন্তজেলায় মোটরসাইকেল চালাতে হবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যাবে না। এসব সিদ্ধান্ত বাইকচালকদের অসন্তুষ্ট ও হতাশ করে।