বিশেষ বিবেচনার কারণে ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
কুঞ্জলতা নামের ফেরিটির শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাঝিরকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা আছে। তবে কখন ছাড়বে তা জানায়নি বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, বিশেষ বিবেচনার কারণে ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। ফেরি কখন ছাড়বে তা বলা যাচ্ছে না। ঘাট এলাকায় মোটরসাইকেল জড়ো হয়েছে। ফেরি ভরে গেলেই ছেড়ে দেয়া হবে।
২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর কারণে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে বন্ধ করে দেয়া হয় যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপারকারী ফেরি। তবে সেতু উদ্বোধনের পরের দিন সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। সেতু দিয়ে ঈদের আগে আর বাইক চলাচলের সুযোগ দেয়া হবে না বলেও জানানো হয়।
এরপর দুর্ঘটনা রোধে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কেই বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।
- আরও পড়ুন: দ্য লাস্ট ফেরি অন পদ্মা
তবুও থেমে নেই ঈদযাত্রায় মহাসড়কে বাইক চলাচল। সেতুতে বাইক চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকেই ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বাইক নিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন উত্তাল পদ্মা।
শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার ৩ নম্বর ঘাটে বাইক নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় বেশ কিছু বাইকারকে।
ফরিদপুরের যাত্রী মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি যাব কিন্তু আশা পূরণ হলো না। আগের ঈদে ফেরিতে কয়েক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পাড়ি দিতে পেরেছি। এবারও তাই হচ্ছে।
‘সরকারের বাইকারদের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত। একজন বাইকারের দায় সব বাইকারের ওপর দিতে পারে না।’
স্ত্রীকে নিয়ে ঈদ করতে মোটরসাইকেলে খুলনা যাওয়ার জন্য বেরিয়েছেন হাফিজ আলামিন।
তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার বাসের ঝামেলায় না গিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাব। ঘাট এলাকায় এসে শুনেছি একটি ফেরি ছাড়বে। যদি ফেরিতে যেতে না পারি তাহলে আর কী করার? ঢাকায় ঈদ করতে হবে।’
ইমরান হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘যাব মাদারীপুরের কালকিনিতে। অনেক দূর ঘুরে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি। যেভাবে হোক যেতে হবে। সঙ্গে গরু কেনার টাকা আছে। গ্রামে গিয়ে গরু কিনব, সবার সঙ্গে ঈদ করব।
‘যদি ফেরিতে যেতে না পারি তাহলে ট্রলারে নদী পার হবো। যেভাবে হোক যেতে হবে। পুরো পরিবার গ্রামে। আমি ঢাকায় একা থেকে কী করব?’