কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর হাটে সাড়ে ১২ মণ ওজনের একটি ষাঁড়ের মৃত্যু হয়েছে।
ষাঁড়ের মালিক আল-আমিনের অভিযোগ, অতিরিক্ত গরমে তার ষাঁড় স্ট্রোক করলেও হাটে কোনো পশু চিকিৎসকের খোঁজ পাননি।
আল-আমিনের বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের বড়বাড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি হাটে এনেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এর মৃত্যু হয়।
ষাঁড়ের মালিক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম ছিল। বাইরের চেয়ে হাটে আরও বেশি গরম। হাটে আনার পর প্রচণ্ড গরমে আমার ষাঁড়টা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
‘স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে আমার ষাঁড় বাঁচানোর চেষ্টা করে। তারা দৌড়াদৌড়ি করে পানি, বরফ এনে দিয়েছিল। আমি নিজেও এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে অনেককে জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু হাটে কোনো ডাক্তারের খোঁজ পাইনি।’
আল আমিন আরও বলেন, ‘শখ করে প্রায় দুই বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো ষাঁড়টা বড় করেছিলাম। ৫০০ কেজি ওজন হয়েছিল। হাটে আনার পর ৪ লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছিল। আরও বেশি দামের আশায় বিক্রি করিনি। এখন তো আমার সব শেষ।’
হোসেনপুরের দ্বীপেশ্বর এলাকার রাসেল মিয়া বলেন, ‘গরু স্ট্রোক করলে আমরা সবাই মিলে পানি, বরফ দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। এত বড় একটা হাটে মেডিক্যাল টিম ছিল না। ডাক্তার থাকলে হয়তো ষাঁড়টিকে বাঁচানো যেত।’
এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন হোসেনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘গরুর হাটে আমাদের সার্বক্ষণিক একটি মেডিক্যাল টিম আছে। ষাঁড় অসুস্থ হওয়ার সংবাদ আমরা পাইনি।’