বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে যুবককে ‘কুপিয়ে হত্যা’

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২২ ১১:৩০

নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বলেন, ‘মাহফুজ হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে প্রতিবেশী যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় একই গ্রামের অভিযুক্ত ৪৫ বছরের মো. মাহফুজকে আটক করেছে পুলিশ।

উপজেলার পশ্চিম গেরাপচা গ্রামে বুধবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ২৬ বছরের আবু সাঈদের বাড়ি নালিতাবাড়ীর পশ্চিম গেরাপচা গ্রামে। তিনি বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের কাজ করতেন। অভিযুক্ত মাহফুজ দিনমজুরের কাজ করতেন।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল।

ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহফুজ জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ১৯ বছর আগে দিনাজপুরের মিনারার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিন বছর আগে মিনারা কাজ করতে ওমানে যান। দুই বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন। এর পর থেকেই সাঈদের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সাঈদ প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। এ বিষয় নিয়ে মিনারার সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হত।

পরে বনিবনা না হওয়ায় মিনারা ৯ মাস আগে তাকে তালাক দিয়ে চার সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি দিনাজপুরে চলে যান। এরপর থেকেই সাঈদের উপর প্রতিশোধ নিতে চান তিনি। এ কারণে প্রতিবেশী সাঈদের সঙ্গে তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন।

পরিকল্পিতভাবে সাঈদকে হত্যা করতে বুধবার রাতে সাঈদকে মাছ ধরতে নিয়ে মাঠে যান মাহফুজ। ১১টার পর ফিরে একসঙ্গে স্থানীয় দোকানে দুজন চা খান ও ধূমপান করেন।

এর পরেই সাইদ স্থানীয় দোলোয়ার হোসেন বাচ্চুসহ দুই-তিনজনের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দূর থেকে সাঈদকে ডেকে নিয়ে মাহফুজ আকস্মিক দা দিয়ে তার ঘাড়ে পরপর দুটি কোপ দেয়। এতে সাঈদের মাথা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ওসি জানান, সাইদের চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর মাহফুজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের নয়ানিকান্দা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়।

ওসি বছির আহমেদ বলেন, ‘মাহফুজ হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর