বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে অপারেশনের রোগীরা

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২২ ২২:০২

বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় অপারেশনের সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে। বাকি রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে সারা দেশ। এর প্রভাব পড়েছে বগুড়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালেও।

বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় অপারেশনের সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে। বাকি রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার বিকেলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এ হাসপাতালে দুটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) রয়েছে। এতে গাইনি, সার্জারি ও অর্থোসার্জারি এই তিন বিভাগের রোগীদের অপারেশন করা হয়।

হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, দুটি ওটি মিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬টি অপারেশন করা যায়। সম্প্রতি ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অপারেশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সাধারণত আগে একটি ওটিতে রুটিন বা শিডিউলের ৮ থেকে ৯টি অপারেশন হতো। এখন সেখানে সর্বোচ্চ চারটি অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে।

এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ২৫ জন রোগীদের ঈদুল আজহার পরে শিডিউল দেয়া হয়েছে।

শহরের নাটাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। তিনি অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশনের জন্য মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাকে ঈদের পরে ২৭ জুলাইয়ে পরবর্তী তারিখ দেয়া হয়েছে।

শফিকুল বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে বেশি অপারেশন করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তাই তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে। বলেছে ঈদের পর এসে হাসপাতালে ভর্তি হতে। আমার সমস্যা বেশি জরুরি নয়। এজন্য আমি বাসায় চলে এসেছি।’

হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা শফিক আমিন কাজল বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা শুধু জরুরি অপারেশনগুলো করছি। আর অন্তত ২৫ জন রোগীকে ঈদের পর শিডিউল দিতে হয়েছে।

‘আমাদের জেনারেটর রয়েছে, কিন্তু ওটিতে এয়ারকন্ডিশন, অটো কিনজিং মেশিন এসব জেনারেটর দিয়ে বেশিক্ষণ চালানো সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।’

তবে বেসরকারি হাসপাতালের চিত্র ভিন্ন। এখানে লোডশেডিংয়ে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।

শহরের কলোনী এলাকার রেইনবো কমিউনিটি হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক সোহেল রানার সঙ্গে নিউজবাংলার কথা হয়। তিনি বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের অপারেশনের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেনারেটর চালাতে গিয়ে আমাদের ব্যয় বাড়ছে।’

নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) জেলা কার্যালয় থেকে জানা যায়, বগুড়ায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ৮২ মেগাওয়াট। বর্তমানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৪২ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সংকট কবে নিরসন হবে তা অনিশ্চিত বলে জানান নেসকো বগুড়ার বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মুন্নাফ। বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সবার কষ্ট হচ্ছে, এটা অস্বীকারের উপায় নেই। অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন এই কষ্ট কত দিন ভোগ করতে হবে। আসলেই আমাদের জানা নেই।

‘মূলত গ্যাস ও ফুয়েল সংকট থেকে এই লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। কবে নাগাদ সংকট কমবে তার অফিশিয়ালি ডিক্লারেশন আমরা পাইনি।’

আব্দুল মুন্নাফ আরও বলেন, ‘সামনে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। এই সময় কারখানাগুলো বন্ধ থাকলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের চাপ একটু কমবে।’

এ বিভাগের আরো খবর