দায়িত্ব পালন করার সময় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের সতর্ক করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
একই সঙ্গে ট্রাফিক সদস্যরা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না, তা কঠোরভাবে তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার ডিএমপির আট ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে ডিএমপি কমিশনারের এই নির্দেশনার চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন ফরমেশনে দায়িত্ব পালনকালে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগ এবং প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি পুরো ইউনিটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
এতে বলা হয়, ট্রাফিক বিভাগের যেসব সদস্য বিভিন্ন ইন্টারসেকশনে ডিউটিতে নিয়োজিত থাকেন, তারা ডিউটি যথাযথভাবে পালন করছেন কি না তা নিয়মিত কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।
ডিএমপি জানিয়েছে, সম্প্রতি সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট জাফর ইমাম, কনস্টেবল মোফাজ্জল হক, রাজু হোসেনসহ অন্তত ১০ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ ধরনের অপরাধে না জড়াতে ডিএমপির সব ট্রাফিক সার্জেন্ট, কনস্টেবলসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে। তাদের কঠোর তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ট্রাফিক বিভাগগুলোর এডিসি, এসি ও টিআইদের।
আট বিভাগের উপকমিশনারদের উদ্দেশে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ট্রাফিক সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অনৈতিক ও দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এডিসি, এসি, টিআইকে এর দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে এবং তদারকিতে গাফিলতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সিআর-এ অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ট্রাফিকের আট উপকমিশনারকে এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।