রাজশাহীতে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।
নগরীর গৌরহাঙ্গা এলাকায় সোমবার বেলা ৩টার দিকে মানববন্ধন শেষে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন শত শত মানুষ।
নিহত ১৭ বছরের মো. সনি রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে পাখির ছোট ছেলে। সনি এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবোনা এলাকায়।
রোববার রাতে সনিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সোমবার নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া মহল্লার সমবয়সী কিছু ছেলের সঙ্গে রেলগেট দড়িখড়বোনা এলাকার সনিসহ আরও কয়েকজনের বিরোধ চলছিল। এই দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে মীমাংসাও হয়েছে।
রোববার সনির জন্মদিন ছিল। এদিন রাত ৯টার দিকে সনির বন্ধু সিজার, নয়ন ও তৈয়বুর তার জন্মদিন উদযাপন করে।
নয়ন নিউজবাংলাকে জানান, সেখানে রাতে বাথরুমে পড়ে গিয়ে সিজারের থুঁতনি কেটে যায়। সনি, নয়ন ও তৈয়বুর আহত সিজারকে নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়।
নয়নের ভাষ্য, হাসপাতালের সামনে এলে প্রতিপক্ষরা তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সিজার আহত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিলে নয়ন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ সময় প্রতিপক্ষরা তৈয়বুর ও সনিকে হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকায় তুলে নিয়ে যায়। সেখানে সনিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কোপানো হয় তৈয়বুরকেও।
নিহত সনির চাচা যুবরাজ বলেন, ‘সনি ও তৈয়বুরকে কোপানোর পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সনিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তৈয়বুর চিকিৎসাধীন।’
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে সনির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরের বাবা ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’