ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাঙনের কারণে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ‘২৫টি ঘর-বাড়ি’। ভাঙন ঝুঁকিতে আছে আরও অর্ধশত পরিবার।
তাই ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা রউফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যেক বছরই আমগো এলাকার মইদ্দে বৃষ্টির সময় ভাঙ্গন দেহা দেয়। গত কয়েকদিনো চিত্রী, চরলাপাং ও দড়িলাপাং গ্রামের অন্তত ২৫টি ঘর-বাড়ি নদীতে ভাইঙ্গা বিলীন হইয়া গেছেগা।’সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে ভিটে-মাটি হারিয়ে মানবেতর দিন পাড় করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে আছে নদী তীরবর্তী আরও অন্তত অর্ধশত ঘর-বাড়ি। ভয়ে অনেকেই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কেউ আবার আস্ত টিনের ঘরই সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র।এ সময় চিত্রী গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম জানান, শনিবার দুপুরে রান্না করার সময় তাদের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারা কোনো রকম প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ঘরের আসবাবপত্র-গবাদি পশু কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।
ক্ষতিগ্রস্ত খসরু মিয়া জানান, মাত্র এক ঘণ্টার ভাঙনে তার ঘর বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। এখন মানবেতর অবস্থায় আছেন। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা ও শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।’