বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বয়স কমিয়ে শিশুর সংজ্ঞা পরিবর্তনের সুপারিশ

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫৬

মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর অপরাধ অনেক বেড়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ করলেও ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’

সংজ্ঞা অনুযায়ী শিশুর বয়স ১৮ বছর। সেই বয়স ১৮ বছর থেকে কমানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

সচিবালয়ে রোববার কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, ‘কিশোর গ্যাং আমরা লক্ষ্য করছি, আমরা মনে করি আইনের কিছু সংশোধন আসা উচিত, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আপনারা জানেন যে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। আইনে আছে, শিশুদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, গ্রেপ্তার করলে নানা জটিলতা আছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের সাথে মেলে না।

‘কয়েক দিন আগে আপনারা লক্ষ্য করেছেন দশম শ্রেণির একজন ছাত্র শিক্ষককে মেরে ফেলেছে। এখন তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আইনে সে শিশু। তার বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা হয় না। এ জন্য বাস্তবতার নিরিখে আমরা মনে করছি, আইনের পরিবর্তন হওয়া দরকার। এখন নতুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কীভাবে আইন তৈরি করা যায় এ নিয়ে আমরা আইনমন্ত্রীর পরামর্শ কামনা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই শিশু গ্যাংয়ের কথা জানছি। এটা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। মাদকের বিস্তারও তরুণদের মধ্যে বেশি। এ কারণে কীভাবে আইন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আদালতে যখন আইনজীবীরা বলে যে সে শিশু তখন জঘন্য অপরাধ করার পরেও তারা ছাড়া পেয়ে যায়।’

‘আমার ব্যক্তিগত মত, ১৪ বছর পর্যন্ত শিশু রাখা যায়। এটা আমার ব্যক্তিগত মত’, যোগ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মহাসড়কে যানজট এড়াতে টোল আদায়ে অটোমেশন আনার সুপারিশ করার কথাও জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু করেছি। পদ্মা সেতুর সুফলে আমরা একটি অন্তরায় দেখছি যে টোল দিতে মানুষের যে কষ্ট হয়, অর্থাৎ সেটা ম্যানুয়ালি কালেক্ট করা হয়। এতে বিশাল লাইন হয়ে যায়। তাই ঈদের সময় আমরা আশঙ্কা করছি হয়তো হাজার হাজার গাড়ি যাবে একে হয়তো যানজট সৃষ্টি হয়ে যাবে। এই ঈদে হয়তো কিছু করা যাবে না কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে টোলের ক্ষেত্রে অটোমেশনের ব্যবস্থা করা যায়।

‘আমাদের প্রত্যেকের গাড়িতেই তখন ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট হয়ে যাবে। ম্যানুয়ালি কোথাও কাউকে থামতে হবে না। এটা কত দ্রুত ডিভাইসটা ইন্ট্রোডিউজ করা যায় আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি অন্যান্য সেতুতেও যেখানেই টোল দেয়া হয় সেখানেই মানুষের খুব কষ্ট হয়ে যায়, এটার সুফল পেতে হলে যাতে ডিজিটাইডভাবে টোল আদায় করা যায়। এটাতে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর