নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার বরপা হাজী নূর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।
রোববার দুপুরে স্কুলের এক জরুরি সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ঘটনাটির তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসনও।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দুই ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের স্বজনরা থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরপা হাজী নূর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই আনন্দে ছাত্রীরা সবাই স্কুলে চুমকি মাখামাখি শুরু করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান অভিযুক্ত জসিমউদ্দিন। পরে তাদেরকে বাঁশের বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তিনি।
আঘাত সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুই ছাত্রী। পরে তাদের ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা স্থানীয় ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
রূপগঞ্জের ইউএনও শাহ নুসরাত জানান, ঘটনাটির তদন্তে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রধান হাসিনা গাজী বলেন, ‘আমরা ঘটনা জানার পর মিটিং ডেকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি।’
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।