পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে নিয়ে আসায় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন বাড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই তথ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু নিয়ে সংবাদ প্রচারের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছিল গণমাধ্যমকে। এমনিতেই দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার হচ্ছিল। এর মধ্যে এই অনুরোধ তুমুল আলোচনা তৈরি করে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগের দিন থেকেই গণমাধ্যম, এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও এই সেতুটি নিয়ে নানা সংবাদ আর পোস্ট ছিল ব্যাপক।
মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে অনলাইন, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অত্যন্ত পজিটিভ নিউজ করেছেন। সারাদেশের মানুষের উচ্ছ্বাস টেলিভিশনের কিংবা অনলাইনের স্ক্রিনে নিয়ে এসেছেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ।’
গণমাধ্যমের জন্য সরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন আরও বাড়া উচিত বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আগে প্রকল্পের মূল্যমান কম ছিল, তখন বিজ্ঞাপনে বেশি ব্যয় করা সম্ভব ছিল না। এখন প্রকল্পের মূল্যমান বেশি তাই বিজ্ঞাপনের ব্যয় বাড়ানোর সক্ষমতা আছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেটি মনে করি।’
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন তুলনামূলক কম গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে আক্ষেপও করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত ২০০ পত্রিকায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বিজ্ঞাপন দিতে বলেছিলাম। কিন্তু দেয়া হয়েছে মাত্র ৩০টি পত্রিকায়। এর মধ্যে ঢাকায় ১৫টি ও ঢাকার বাইরে ১৫টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সেজন্য বেশিরভাগ পত্রিকা বিজ্ঞাপন পায়নি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনটি স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবসের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।’
‘গায়েবি পত্রিকা বন্ধ হবে’
হঠাৎ হঠাৎ বের হয়, এমন ‘গায়েবি’ পত্রিকা বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গায়েবি পত্রিকা যেগুলো হঠাৎ হঠাৎ বের হয় সেগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অনেকগুলোর ডিক্লারেশন বাতিল হয়েছে, এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
‘ভূঁইফোর সাংবাদিকের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। সেটি নিয়ে প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা হচ্ছে।’
অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন অনলাইন কোনটি নিবন্ধিত, কোনটি অনিবন্ধিত সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাটাবেইজ হলে ভুঁইফোরদের সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আমার আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে বাকি সমম্যাও সমাধান হবে আশা করি।’