নরসিংদীতে বেড়েই চলেছে মেঘনা নদীর পানি। সেই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে নদীভাঙনও। বাড়িঘর হারানোর আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয়রা।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হয় নদীর ভাঙন। ভাঙনে মেঘনার গর্ভে তলিয়ে গেছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবু কালামের আধাপাকা ঘরসহ বসত বাড়ি।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চোখের সামনে দেখতে দেখতে মেম্বারের বাড়িঘর ডুবে গেল। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে আছি। নদী পারের অনেকে সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। আমরা নদী পারের মানুষ অনেক বিপদে আছি, যে কোনো সময় পুরো গ্রাম নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছে না কেউই।’
ইউপি সদস্য আবু কালাম বলেন, ‘পূর্বপুরুষের ভিটেমাটিসহ আমার ঘরটা আজ রাক্ষুসে মেঘনার গর্ভে চলে গেল। একে একে এই মির্জারচরের নদী পারের বসতবাড়িগুলো নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। সরকার নদীভাঙন রোধে পদক্ষেপ নিলেও আমরা এর সুফল পেলাম না।’
নরসিংদীতে মেঘনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। নদী পুনর্খনন, তীর রক্ষা, তীর প্রতিরক্ষা ও ব্রিজ শক্তিশালীকরণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প বর্তমানে চলমান। তারপরও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।
কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে নরসিংদীতে মেঘনার ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রায়পুরা উপজেলায় নদীভাঙন রোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যেখানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ডাম্পিং করে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া পানি শুকিয়ে গেলে রায়পুরাসহ বিভিন্ন এলাকার নদ-নদী খনন প্রকল্পের আওতায় ভাঙন এলাকাগুলোতে আমরা স্থায়ী ব্লক বসাব।’