আবারও গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নাফিস ইসতে তৌফিক অন্তু। এর আগে গত বছরও দুটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল সে।
সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়া অন্তু এবার এক মিনিটে হাতের পিঠে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫ পেন্সিল রেখে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী ইউনুস আলীর ছেলে সে।
পেন্সিলের এই রেকর্ডটি আগে ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলামের। ৩০ সেকেন্ডে হাতের পিঠে ৫০টি পেন্সিল ব্যালান্স করে রেকর্ডটি গড়েছিলেন। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকা প্রসাদ ইউনিয়নের নিরাচর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে তিনি।
অন্তু এর আগে ২০২১ সালে দুটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। এর মধ্যে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি এবং দ্রুততম সময়ে সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান করে রেকর্ড দুটি গড়েছিল।
অন্তু নিউজবাংলাকে বলে, ‘করোনার সময় সার্জিক্যাল মাস্ক ও স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরির পর পেন্সিল ব্যালেন্স নিয়ে কাজ শুরু করি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গিনেস বুক অব ওর্য়াল্ডে এ নিয়ে আবেদন করি এবং ৫ মার্চ কর্তৃপক্ষ আমার আবেদন গ্রহণ করে ও অনুমতি দেয়।’
অন্তু আরও বলে, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে আমার রেকর্ড দুটির ভিডিও পাঠাই এবং ৩০ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে আমার রেকর্ড সফল হয়েছে বলে জানানো হয়। আমি এখন এই ক্যাটাগরিতে বিশ্ব রেকর্ডধারী।’
অন্তুর সম্পর্কে মা নাজমুন নাহার বলেন, ‘সে ফাঁকা সময়ে ব্যস্ত থাকে নানা কাজে। করোনার সময় পড়াশোনার পাশাপাশি রাত জেগে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি এবং দ্রুত সময়ে মাস্ক পরিধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং সফলও হয়। এরপর পেন্সিল নিয়ে লাগে এবং এটাতেও সফল হয়েছে। আমি চাই সফল মানুষ হিসেবে সে গড়ে উঠুক।’
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গর্বিত। এর আগেও দুটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে অন্তু। এবার আরেকটি রেকর্ড গড়ায় আমাদের সুনাম আরও বেড়েছে।’