বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাটে পশু আছে, ক্রেতা নেই

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২২ ২২:৩৬

গরু ব‍্যবসায়ী কশবা গ্রামের আবুল বাসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি দুটি গরু কিনেছিলাম ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। আমি মনে করেছিলাম গরু দুটি বিক্রি করলে লাভ হবে। অথচ সেই গরু আজ বিক্রি করলাম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়। আর কয়েক দিন পর গরু কেনার লোক পাব না।’

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র সাত দিন। এখনও জমে ওঠেনি মেহেরপুরের ২০০ বছরের বেশি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী বামন্দীর পশুর হাট।

শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগের বৃহত্তর বামন্দীর এ পশুর হাটে সকাল থেকে জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু এসে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।

ওই তুলনায় বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ব‍্যবসায়ী, হাটমালিক ও খামারিরা।

গরু পালন করা ব্যক্তিরা ও খামারিরা বলছেন, গোখাদ‍্যের দাম বাড়ায় গবাদিপশু পালনের খরচ বেড়েছে। তাই গবাদিপশুর দাম বেড়েছে। ন‍্যায‍্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলে লোকসানে পড়তে হবে তাদের।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, জেলায় উৎপাদিত গবাদিপশু জেলার চাহিদা মিটিয়ে লক্ষাধিক পশু কোরবানির জন‍্য দেশের বিভিন্ন হাটে চলে যাবে। বাইরে চাহিদা থাকার ফলে সব পশুই ঈদুল আজহার আগেই বিক্রি হয়ে যাবে।

গরু ব‍্যবসায়ী কশবা গ্রামের আবুল বাসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি দুটি গরু কিনেছিলাম ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। আমি মনে করেছিলাম গরু দুটি বিক্রি করলে লাভ হবে। অথচ সেই গরু আজ বিক্রি করলাম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়। আর কয়েক দিন পর গরু কেনার লোক পাব না।’

খয়েরপুর গ্রামের গরু পালন করা সমের আলী বলেন, ‘আমি প্রায় আড়াই বছর ধরে একটা গরু পালছি। চার দিন আগেও বাড়ি থেকে এক পার্টি গরুর দাম দিতে চেয়েছিল ৪ লাখ টাকা। আর আজ হাটে নিয়ে এসে দাম বলছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। তাই আমি গরু নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’

গরুর বেপারি আমির আলী বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে ছয়টি গরু কিনেছিলাম। যার মধ‍্যে চারটি মাঝারি সাইজের। আর দুটি বড়। আজ হাটে এসে মাঝারি আকারের গরু চারটি বিক্রি হয়েছে। সামান‍্য লাভে। আর বড় দুটির যা দাম বলছে তাতে আমার ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লস হবে।’

ঢাকা থেকে আসা গরুর বেপারি হাজি আবু নাঈম বলেন, ‘এ বছর পশুর হাটে গরুর আমদানি ব‍্যাপক আছে। তবে চাষি ও খামারিরা যা দাম চাইছেন, সে দামে কিনলে লোকসানের আশঙ্কা আছে।

‘বাজার ঘুরে ঘুরে দেখে গরু কেনা লাগছে। তা ছাড়া দ্রব‍্যমূল‍্যের ঊর্ধ্বগতি, গোখাদ‍্যের দাম বৃদ্ধির কারণে এমনটি ঘটছে।’

বামন্দী পশুর হাট ইজারাদার আমিরুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘প্রতি বছর কোরবানি ঈদের এক মাস আগ থেকে গরু বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বেপারিরা এসে হাজির হয়ে যান। তবে এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন।

‘ঈদ আসতে আর কয়েক দিন। অথচ বেপারিরা তেমন একটা আসেননি। আবার যারা এসেছেন, তেমন একটা গরু কিনছেন না।’

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদবান্ধব জেলা। এখানে প্রচুর সবুজ ঘাস জন্মে, যা গবাদিপশু পালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এখানে ৩০ হাজার খামারি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯০টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন, যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৬০-৭০ ভাগ পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর