পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজার আগে মাইক্রোবাসে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ জন।
টোলপ্লাজার আগে নাওডোবা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় শনিবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৬০ বছর বয়সী নিহত আব্দুল মোল্লার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার আগানগর থানার টাগাইয়া গ্ৰামে।
পদ্মা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নাওডোবা ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোকে সজোরে ধাক্কা দেয় কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী অন্তরা ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আব্দুল হক মোল্লা। এ ছাড়া মাইক্রোর ১৩ যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করেছে ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের একটি দল।
মাইক্রোর যাত্রী আবু তাহের শিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ভৈরব থেকে পরিবার-পরিজন ও এলাকার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলাম। সেতু দেখা শেষে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় পেছন থেকে আমাদের মাইক্রোবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি বাস। এতে সেটি উল্টে আমাদের মুরুব্বি আব্দুল হক মোল্লা মারা যান।’
এর আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হন। তাদের একজন বাইক চালাচ্ছিলেন, অন্যজন আরোহী।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, পদ্মা সেতুতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে রোববার রাতে (সেুততে যান চলাচল শুরুর দিন) হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন আলমগীর হোসেন ও মো. ফজলু।
এই দুর্ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণ পরই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করে সরকার।