পাকিস্তানিরাও তাদের দেশে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকার ধামরাইয়ে শ্রী শ্রী যশোমাধবের রথযাত্রার রথটান উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাশের সভাপতিত্বে সভায় সঞ্চালনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সাহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘ভারতের পার্লামেন্টে সুষমা স্বরাজ কয়েক বছর আগে বলেছেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে ৮ শতাংশ হিন্দু বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ছিল ২ শতাংশ। এখন তা ১০ শতাংশ। এতে কি বোঝা যায়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সকলেই একসাথে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাস করতে পারে। সুষমা স্বরাজের বক্তব্য অনুযায়ীই হিন্দু বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ সকলের জন্য এখন নিরাপদ।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের এক রাজনীতিক পার্লামেন্টে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানে এনে দাও। পাকিস্তানকে সে বাংলাদেশ বানিয়ে দিক এটাই আমাদের চাওয়া। কী বোঝায়? যে পাকি বাঙালিরা এখনো পাকিস্তানি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে রাজনীতি করে। অথচ পাকিস্তানিরা চায় শেখ হাসিনা সেখানে প্রধানমন্ত্রী হোক। তাদের পরিবর্তন হোক। আর কী চান আপনারা?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানের নাগরিকদের আয় পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় ৭৫ গুণ বেশি ছিল। এখন তাদের তুলনায় বাংলাদেশিদের আয় ৫০ গুণ বেশি। আমাদের মাথাপিছু আয় ২০২১ অর্থবছরে ছিল ২৫০০ ডলার, পাকিস্তানে ১৫৬০ ডলার। অর্থাৎ পাকিস্তানকে আমরা পেছনে ফেলেছি। শুধু তাই নয়। আমরা ভারতকেও গত ২-৩ বছরে মাথাপিছু আয়ে পেছনে ফেলেছি।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি, গড় আয়ু বেশি, মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে কম, শিশু মৃত্যু সবচেয়ে কম।
শামসুল আলম বলেন, ‘গোপাল কৃষ্ণ হত্যাকাণ্ড, মানিক সাহা হত্যাকাণ্ড, আহসান উল্লাহ মাস্টার, এসএম কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট হামলা চালানো হয়েছে। তবুও শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্যই।’
এভাবে দেশ এগোলে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এ সময় রথযাত্রার প্রশংসা করে ড. শামসুল আলম বলেন, ‘এটা একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠান। একটা পরম আকাঙ্খিত অনুষ্ঠান। আজকের এই আয়োজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনারা পালন করতে পারছেন। নির্বিঘ্নে পালন করতে পারছেন। এটা সরকারের অবদানের কারণে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধামরাইয়ের কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দের দাবি করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ। দাবিগুলো পূরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করার কথা জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার, ধামরাই পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লাসহ অনেকেই।