বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চারজনকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২২ ২১:১৪

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজনকে ২৯ জুন ও একজনকে ৩০ জুন আদালতে তোলা হয়। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ড পেতে পুলিশ আবেদন করেছে। আগামী ৩ জুলাই এই রিমান্ড শুনানির দিন রেখেছে আদালত। আসামিরা কারাগারে আছেন।’

নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টের জের ধরে ব্যাপক সহিংসতা ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরানোর ঘটনার গ্রেপ্তার চারজনকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। এই আবেদনের ওপর ৩ জুলাই শুনানি হবে।

নিউজবাংলাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহমুদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজনকে ২৯ জুন ও একজনকে ৩০ জুন আদালতে তোলা হয়। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ড পেতে পুলিশ আবেদন করেছে। আগামী ৩ জুলাই এই রিমান্ড শুনানির দিন রেখেছে আদালত। আসামিরা কারাগারে আছেন।’আরও পড়ুন: লাঞ্ছিত স্বপন কুমার অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন বাধ্য হয়ে

ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে কলেজের এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে। গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস।আরও পড়ুন: অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা ওসির সামনেই

এরপর পুলিশ পাহারায় বিকেল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।

নড়াইলে পুলিশের সামনে শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা দিয়ে অপদস্থ করার ঘটনার ৯ দিনের মাথায় ২৭ জুন এ ব্যাপারে মামলা করে পুলিশ।আরও পড়ুন: শিক্ষককে জুতার মালা: ছাত্রের বিরুদ্ধে এজাহারের ‘লেখক’ পুলিশ

এ মামলার বাদী হয়েছেন নড়াইল সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মোরছালিন।

দণ্ডবিধির ৩৪, ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩৪১, ৩৩২, ৩৫৩, ৩৫৫, ৪৩৬, ৪২৭, ৫০০ ধারায় করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা পর ওই রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মির্জাপুরের শাওন খান, মির্জাপুর মধ্যপাড়ার মো. মনিরুল ইসলাম এবং মির্জাপুরের সৈয়দ রিমন আলী।

এরপর বুধবার (২৯ জুন) এ মামলায় রহমত উল্লাহ রনি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে শাওন খান ও রহমত উল্লাহ রনিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সরাসরি অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর