আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে মোট পাঁচ দিন কাউন্টারে কাউন্টারে প্রতিদিন সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। আর মোবাইল অ্যাপ এবং ইন্টারনেটে ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে।
গত ২২ জুন রাজধানীর রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, এবার ১ জুলাই দেয়া হবে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট। ২ জুলাই ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেয়া হবে ৭ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট। এ ছাড়া ৪ জুলাই দেয়া হবে ৮ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
ঢাকায় ছয়টি স্টেশনে এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঈদের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তনগর ট্রেনের টিকিট। কমলাপুর শহরতলী প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট; তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাবে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। রাজধানীর ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে পাওয়া যাবে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট। এ ছাড়া গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। পঞ্চগড় স্পেশাল ট্রেনের টিকিট জয়দেবপুর ছাড়াও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকেও পাওয়া যাবে।
গতবারের মতো এবারও ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’নীতিতেই ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে রেল। সে জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি দিয়ে কিনতে হবে ট্রেনের টিকিট। ঈদের অগ্রিম টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।
ফিরতি টিকিট
ঈদ-পরবর্তী টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৭ জুলাই। চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে ৭ জুলাই ১১ জুলাইয়ের, ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের এবং ১১ জুলাই ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি করা হবে। ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত পরিসরে কয়েকটি আন্তনগর ট্রেন চলবে।