রাজধানীর সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ওই কলেজের গভর্নিং বডির অ্যাডহক কমিটি স্থগিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপলকে হত্যার ঘটনায় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ কলেজের গভর্নিং বডির অ্যাডহক কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন উৎপল। এই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি।
গত ২৫ জুন দুপুরে কলেজ মাঠে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণীর ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতুর বিরুদ্ধে।
পরদিন সকালে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় উৎপলের। একই দিন তার বড় ভাই অসীম কুমার আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তিন দিন পর বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আসামি জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে এবং পরে গাজীপুর থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যার পর জানা যায়, জিতুর সঙ্গে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি সেখানকারই এক শিক্ষকের শ্যালিকা। জিতুর বিরুদ্ধে আগে থেকেই বখাটেপনার অভিযোগ ছিল।
দুইজনকে স্কুলের একটি কক্ষে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখার পর মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানান উৎপল। মেয়েটিকে এই পথ থেকে ফেরানোর পরামর্শ দেন তিনি। পরে সেই ক্ষোভ থেকেই উৎপলকে পেটানো হয়।
জিতুকে গ্রেপ্তারের পর র্যাবের বর্ণনাতেও এ বিষয়টি উঠে এসেছে।