পদ্মা সেতু প্রকল্পে যারা ষড়যন্ত্র কিংবা বিরোধিতা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার পক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিরোধিতা করেছে। ড. ইউনূস হোক আর তার সাঙ্গপাঙ্গ হোক। তাদের বিচার করা ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই।’রাজধানীর সিরডাপে বুধবার এক গোলটেবিল আলোচনায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা দেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করেছে অথবা অসত্য তথ্য সরবরাহ করেছে, বাংলাদেশের দণ্ডবিধির প্রচলিত আইন অনুযায়ী তারা অপরাধী।’
‘আজকে তাদের ছেড়ে দিলে অনেকে মনে করবে এসব করলে তো কিছুই হয় না। আমি একজন আইন পেশার মানুষ হিসেবে মনে করি তারা দেশের প্রচলিত আইন, দণ্ডবিধি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে তারা অপরাধী।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমার তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, এটি তার হৃদয়ের বিশালতা।
মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও যারা মিথ্যাচার করছেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ দরকার।’
‘যারা উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা প্রেস ক্লাব কিংবা সিরডাপে এসে সভা-সেমিনারে অনেক বড় বড় ভাষণ দেয়। আজকে পেপারে দেখলাম, পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্র পদ্মা সেতু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের অনুসারী যারা বাংলাদেশে আছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতুর জন্য এখনও অভিনন্দন জানাতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। অবৈধ পথে যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করতে চেয়েছে তাদের মুখে চপেটাঘাত। সারা দেশের যেখানেই যাবেন শেখ হাসিনার কৃতিত্ব খুঁজে পাবেন।’
আলোচনায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে ষড়যন্ত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একা ছিলেন না বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ড. ইউনূস তিনি কি একাই ষড়যন্ত্র করেছিলেন? তার সঙ্গে কি এদেশের সংবাদপত্র ছিল না? সংবাদপত্রের সম্পাদক কয়েকজন ছিল না তার সাথে? তারাও তার (ড. ইউনূস) সাথে ছিল তো। তারাও ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ছিল তার সঙ্গে। তার নেতৃত্বে গুলশানে, একটি জনপ্রিয় পত্রিকার সম্পাদক, ড. ইউনূস, তার প্রতিনিধি সভা করেছে পদ্মা সেতুর লোন কী করে বাতিল করা যায় বিশ্বব্যাংককে দিয়ে। অনেক প্রচারমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল।’
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসীম সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান।