পটুয়াখালীর গলাচিপায় বাড়ির পাশের ডোবা থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর গলিত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের মুশুরিকাঠি স্লুইস গেটের পাশের ডোবা থেকে আফসানা আক্তার মিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৩ বছর বয়সী মিম মুশুরিকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাড়ি মুশুরিকাঠি স্লুইস গেট এলাকায়।
মিমের মামাতো ভাই মো. শান্ত জানান, গত রোববার রাত ৯টার দিকে কাউকে কিছু না বলে মিম বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সে সময় তার মা রেখা বেগম বাবার বাসায় ছিলেন এবং বাবা হুমায়ুন শিকদার ঘুমাচ্ছিলেন।
পরদিন মিমকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে তার মা গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
স্থানীয়রা বুধবার সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
শান্ত বলেন, ‘মিমের বাবা একজন জেলে। নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করেন। কারও সঙ্গে তার জায়গাজমি বা কোনো কিছু নিয়ে বিরোধ ছিল না। নদীতে মাছ কমে যাওয়ায় ও ধারদেনা নিয়ে তিনি দেড়-দুই মাস আগে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তখন থেকে মাছ ধরা বন্ধ করে বাড়িতেই ছিলেন।’
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মিমের শরীর অনেকটা পচে যাওয়ায় কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তার দেহ যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে হাঁটুপানিরও কম ছিল। অর্থাৎ ডুবে মারা গেছে তাও না।
‘প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি এটা হত্যা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’