বরিশালের বাবুগঞ্জে মাদক কারবারিদের হামলায় আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবুল বাশার মারা গেছেন। সোমবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম শুভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০ এপ্রিল বিকেলে তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করে মাদক কারবারিরা।
আবুল বাশার বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
তার ভাই আবুল কালাম জানান, প্রতিবেশী উমর আলী ও তার তিন ছেলে বেল্লাল, সজিব ও সাদ্দাম ইয়াবা বিক্রি করেন। এ ছাড়া তারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আবুল বাশারের ওপর তারা ক্ষুব্ধ হন।
২০ এপ্রিল সকালে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে চণ্ডীপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় বাশার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশে তথ্য দেয়ার অভিযোগে এদিন বিকেলে উমর আলী, রানী বেগম ও তাদের তিন ছেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবুল বাশারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
বাশারকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইএইচ) নেয়া হয়। সোমবার রাতে তিনি মারা যান।
আবুল কালাম আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি ওই পাঁচজনকে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছেন।
আবুল বাশারের ছেলে শুভ জানান, তার বাবা সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ১৯৯১ ও ৯৬ সালে সংসদ পদক এবং সিলভার জুবিলী পদক পান। ল্যান্স করপোরাল পদে থেকে তিনি ২০০১ সালে অবসরে যান।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবুল বাশারের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। ঢাকায় ময়নাতদন্ত হবে। তাকে কুপিয়ে জখমের মামলার আসামি বেল্লাল কারাগারে রয়েছেন। কুপিয়ে জখমের মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি যুক্ত করা হবে।