নতুন প্রজন্মকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার পাশাপাশি স্কাউটিং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল ও মূল্যবোধসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালনে স্কাউট আন্দোলনে যুক্ত সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৫০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্কাউটিং কার্যক্রমই পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রগতিশীল, সৃজনশীল ও উন্নয়নের পথে সম্পৃক্ত করে দেশকে জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে।’
বাংলাদেশে বর্তমানে স্কাউটের সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের যুবসমাজকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কাউটিংয়ে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও স্কাউটিংয়ে সমানভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে। মেয়েরা পিছিয়ে থাকলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। স্কাউট সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে।’
দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় দুর্গতদের পাশে স্কাউটদের উপস্থিতিতে মুগ্ধ রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অগ্নিকাণ্ডসহ দুর্যোগকালে ক্ষতিগ্রস্তদের সেবাদানে স্কাউটরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
‘দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ স্কাউটস ৪৭টি ডিজাস্টার রেসপন্স টিম গঠন করেছে। বৃক্ষরোপণ, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যশিক্ষা, ইপিআই কর্মসূচি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্কাউটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’