কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী ও ইউপি সদস্য দেবরকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার দুপুরে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের বাজারসংলগ্ন এলাকার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।
৩৫ বছর বয়সী নিহত গৃহবধূর নাম রাশিদা খাতুন। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল মোতালিবের মেয়ে।
এ ঘটনায় স্বামী মাসুদ মিয়া ও দেবর সোহেলকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন রাশিদার বাবা আবদুল মোতালিব। আটক সোহেল সুখিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি সারোয়ার জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বরাতে তিনি জানান, প্রায় ২০ বছর আগে মাসুদের সঙ্গে বিয়ে হয় রাশিদার। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী ও দেবর নানাভাবে রাশিদাকে নির্যাতন করতেন। টাকা এনে দিলে সেই টাকা দিয়ে জুয়া খেলে উড়াতেন মাসুদ। পরে আবারও টাকার জন্য চাপ দিতেন।
এ নিয়ে পরিবারে ঝামেলা লেগেই থাকত। শুক্রবার রাত ২টার পর যেকোনো সময় রাশিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে মাসুদ আর সোহেল। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে নিহতের স্বামী মাসুদ ও দেবর সোহেলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্নও আছে।
রাশিদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।