প্রতীক্ষার পালা শেষ হলো। উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শনিবার সকালে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুষ্ঠান শেষে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় টোল দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
টোল দেয়া শেষে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী চত্বরে যান। দুপুর ১২টার একটু আগে বোতাম চেপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান।
ফলক উন্মোচন শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত অতিথিরা।
পরে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়িবহর নিয়ে জাজিরা পয়েন্টের দিকে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টার সেতুর আরেক ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান।
এর আগে সুধী সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে আবেগাপ্লুত দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি সেতু নির্মাণে সাহস জোগানো বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা আবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।
‘আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা আমাদের মাথা নোয়াতে শিখান নাই।’
ওই সময় ষড়যন্ত্রকারীদের শুভবুদ্ধি ও দেশপ্রেমের উদয় হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের শক্তিই বড় শক্তি। সে শক্তিতে বলীয়ান হয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকের মতামত ছিল, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু কীভাবে নির্মাণ করা যাবে, কিন্তু জাতির পিতা বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে শিখিয়েছেন। সে জায়গা থেকে বাংলাদেশ নির্মাণকাজ শুরু করে সেতু করে দেখিয়েছে।