স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
হাতিরঝিলে নানা রং বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে। বর্ণিল এলইডিতে ছেয়ে গেছে পুরো হাতিরঝিল। বর্ণিল আলোয় এক নতুন রূপ পেয়েছে হাতিরঝিল।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন, তার উপর হাতিরঝিলের সাজ, সব মিলিয়ে হাতিরঝিল ঘিরে মানুষ আর মানুষ। অনেকে আবার ওয়াটার ট্যাক্সিতে ও ভাড়া করা প্যাডেল বোটে করে ঘুরে হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হাতিরঝিলে এসেছেন আনোয়ার সম্রাট। রামপুরা ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে আলোকিত হাতিরঝিল উপভোগ করছেন তারা।
সম্রাট নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে বন্ধের দিন। গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে দেখলাম হাতিরঝিল সাজানো হচ্ছে। তাই ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে এখানে আসা। ভাবছি ওদেরকে নিয়ে চক্রাকার বাসে পুরা হাতিরঝিল একটা রাউন্ড দেব।’
মাসুম আব্দুল্লাহ ও তার বন্ধুরাও হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজ এলাকায় হাতিরঝিলের আলোয় ছবি তুলছেন।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আজকে পুরা হাতিরঝিলে এই লাইটিং করা হয়েছে। ভালোই লাগছে। বন্ধুদের নিয়ে ছবি তুলছি। আমরা বাইক নিয়ে এসেছি। হাতিরঝিলের পুরা এলাকা এক চক্কর দিয়ে এখন আড্ডা দিচ্ছি।’
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সেজেছে হাতিরঝিল। ছবি: নিউজবাংলা
সেতু বিভাগের আয়োজনে এবং যমুনা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় হাতিরঝিলে এই আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা প্রান্তে সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মুহাম্মদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু বিশ্বের কাছে আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ সাহসিকতা না থাকলে এটা সম্ভব হত না। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব।’
যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন পদ্মা সেতু করার পদক্ষেপ নেন তখন বিশ্বব্যাংক পিছিয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক যোগান চাওয়া হয়। সেদিন কোন ব্যাংক এগিয়ে আসেনি, কিন্তু আমাকে যখন বলা হলো তখন আমার ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রথম সাহসিকতার পদক্ষেপ নেই, ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেই। এজন্য যমুনা ব্যাংক আজ আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে এটা শতাব্দীর পর শতাব্দী ইতিহাস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বাংলাদেশ আজ পরিপূর্ণ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে সম্মান লাভ করেছে। পদ্মা সেতুর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’