বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী আয়োজনের ব্যস্ততার ফাঁকে হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী গাড়ির মহড়া।
শুক্রবার বেলা ২টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে গাড়িবহরটিকে মাওয়া প্রান্তের দিকে আসতে দেখা যায়।
শনিবার সেতু উদ্বোধনের পর এ বহরে করেই টোল প্লাজায় টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সড়কে, জলে, অন্তরিক্ষে চলছে নানা আয়োজন।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জের উত্তর মেদিনীমণ্ডলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সুধী সমাবেশে বসানো হয়েছে চেয়ার; চলছে সবশেষ প্রস্তুতি। নিরাপত্তাকর্মীরাও আছেন সতর্ক দৃষ্টিতে।
পদ্মা নদী পারাপারের যাত্রীবাহী বেশ কিছু লঞ্চ নিয়ে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে একটি নৌ মহড়া দেখেছে স্থানীয়রা। এ সময় লঞ্চগুলোতে উড়ছিল লাল সবুজের পতাকা। শনিবার যখন প্রধানমন্ত্রী সেতু পাড়ি দেবেন, তখন পদ্মার জলে দেখা যাবে এই মহড়া।
আকাশেও ছিল জাতীয় পতাকাশোভিত সারি সারি হেলিকপ্টার। উড়তে দেখা যায় যুদ্ধবিমান। সবই শনিবারের জমকালো উদ্বোধনী আয়োজনের প্রস্তুতি বলে জানা গেছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে জমকালো আয়োজনে মুখরিত পদ্মার তীর। দুই তীরে এখন উচ্ছ্বাস মুখরিত। জমকালো আয়োজনে সেতু খুলে দেয়ার অপেক্ষায় সারা দেশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে হেলিকপ্টারে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুন্সীগঞ্জের উত্তর মেদিনীমণ্ডলে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে তিন হাজার নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই সমাবেশে।
পদ্মা সেতুতে কোন গতিতে চলবে গাড়ি
সেতু বিভাগ জানিয়েছে, পদ্মা সেতু দিয়ে পাড়ি দেয়ার সময় গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর বেশি গতিতে গাড়ি চলতে পারবে না। সেতুর ওপর যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা বা হাঁটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
থ্রি হুইলার (রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশা), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি দিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে না। ৫.৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালবাহী কোনো গাড়ি নিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে না। সেতুর ওপর ফেলা যাবে না কোনো ময়লা।