উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বগুড়ার তিন উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
যমুনা ও বাঙালি দুই নদীর পানিই প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জানান, যমুনার পানি বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে পানি একই উচ্চতায় আছে।
পাউবো জানায়, যমুনা নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। মঙ্গলবার রাতের পর বুধবার সকাল ৬টা, ৯টা ও ১২টায় পানির উচ্চতা ১৭ দশমিক ৩৪ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
বাঙালি নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৫ দশমিক ৮৫৩ মিটার। সকাল ৬টা থেকে নদীর পানি ১৫ দশমিক ৯০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরু থেকেই যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। উজানে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সেই পানি ভাটি দিয়ে নেমে যাচ্ছে। ১৭ জুন যমুনার পানি বিপৎসীমা পার করে। এতে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ১১টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়।
সারিয়াকান্দি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কামালপুর ইউনিয়নে সমস্যা বেশি। এই এলাকার প্রায় সাত কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা এসব এলাকা নজরদারিতে রেখেছি।’
ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘১১টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। তাদের জন্য ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র ও দুটি রেসকিউ বোট তৈরি রাখা আছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য ৫০ হাজার টন চাল ও ১০ লাখ টাকার শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’