বাগেরহাটে চিতলমারীতে থানায় হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাতে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামিম হাওলাদার এই মামলা করেন মঙ্গলবার।
একই সঙ্গে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে থানায় আরেকটি মামলা করেছেন শেরে বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রুবেল মুন্সি। তাতে আসামি করা হয়েছে কলেজের এক ছাত্রীকে। মেয়েটি রোববার থেকে থানায় হেফাজতে আছেন। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, থানায় হামলার মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে ও ধর্ম অবমাননার মামলার আসামি মেয়েটিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চিতলমারী থানায় সোমবার দুপুরে হামলার ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জানান, মেয়েটি শেরেবাংলা কলেজে পড়েন। কিছুদিন আগে তার নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে অবমাননা করে একটি পোস্ট দেয়া হয়। সেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ রোববার রাতে মেয়েটিকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মেয়েটি জানিয়েছেন যে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছিল।
সোমবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন মেয়েটির বিচারের দাবি নিয়ে মিছিল করে থানায় প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ তখন ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মিছিলকারীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হোসেনের, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়ি, চারটি মোটরসাইকেল ও থানার জানালা ভাঙচুর করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।