বিএনপিকে নির্লজ্জ দল অ্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতারা কথা বেশি বলেন, কিন্তু কাজ করেন না। আর আওয়ামী লীগ কাজ বেশি করে, কথা কম বলে।
সোমবার রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আদাবর থানা এবং এর অন্তর্গত ৩০ ও ১০০ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা রাত জেগে থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সব সংস্থাকে নির্দেশ করেছেন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
‘শুধু তা-ই নয়, দলীয় নেতাকর্মী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাতের বেলায় নির্দেশ করেছেন- এক মুঠো খাবার নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াও। এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিপরীতে বিএনপি নেতারা শুধু বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না তাদের।’
‘আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যস্ত’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটা বাড়ি একটা ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে, সেখানে তারা রান্না করছে। নৌকা দিয়ে সেই খাবার বানভাসি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা ‘এসি’ রুমে বসে সরকারের এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন। ঠিক একইভাবে করোনাভাইরাস মহামারির সময়ও তারা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছিলেন। আসলে বিএনপির নেতাদের লজ্জা নেই।’
সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- এই পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সরকার করে যেতে পারবে না, কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। আরও অনেক ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছেন। কী মূর্খ এক প্রধানমন্ত্রী ছিল এই দেশে। একটা সেতু পার্ট বাই পার্ট করে তৈরি করতে হয়, এটাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জানেনই না। এই মূর্খ নেতৃত্বের কাছে দেশ তখন মুখ থুবড়ে পড়েছিল।’
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন।
আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান প্রমুখ।