উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। জেলার দুই পয়েন্টেই পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের একের পর এক এলাকা।
জেলার বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে সোমবার দুপুর ১২টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়।
এতে নিম্নাঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ি ছেড়েছেন। কেউ ঠাঁই নিয়েছেন উঁচু বাঁধ বা নির্মাণাধীন ভবনে আবার কেউ রাস্তার ধারে ছাপরা ঘর করে থাকছেন।
দুই সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে পানি বাড়ায় যমুনার চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ফুলজোড়, করতোয়া, বড়াল, হুড়াসগর, ইছামতীসহ চলনবিলের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
পানি জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কাঁচা পাট, তিল, কাউন, বাদামসহ বিভিন্ন শাকসবজি। লোকসানের মুখে পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছে। ২২ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত পানি বাড়ার আশঙ্কা আছে।
‘এর মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা কম।’