বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কবে রাস্তা ঠিক হইব’

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২২ ১৩:৫১

বিশাল বলে, ‘আমার স্কুলে এসে ভালো লাগছে না। বন্ধুরা কেউই আসেনি। ওদের সবার বাড়ি আইরল আর ইটনা গ্রামে। কবে রাস্তা ঠিক হইব?’

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্লাস করার জন্য স্কুলে আসে চতুর্থ শ্রেণির বিশাল। স্কুল সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগে কেউই এসে পৌঁছায়নি।

এরপর বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার ক্লাসের আরও তিনজন এবং পঞ্চম শ্রেণির আটজন আসে। সবাইকেই আসতে হয়েছে বন্যার পানি পেরিয়ে।

স্কুলে এসে মন খারাপ বিশালের। কারণ তার বন্ধুরা কেউই আসতে পারেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বিশাল নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমার স্কুলে এসে ভালো লাগছে না। বন্ধুরা কেউই আসেনি। ওদের সবার বাড়ি আইরল আর ইটনা গ্রামে। কবে রাস্তা ঠিক হইব?’

কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে পানির তোড়ে শনিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কর্নেল বাজার ও ইটনা গ্রামের মাঝ দিয়ে যাওয়া সড়ক। এতে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়কের এ পারে থাকা শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না ওপারের স্কুলে।

কর্নেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই স্কুলের মোট শিক্ষার্থী ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে ছেলে ১২৯ জন ও মেয়ে ১৪৭ জন। তাদের বাড়ি খারকুট, ইটনা, আইরল ও লক্ষ্মীপুর গ্রামে।

প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার বিচ্ছিন্ন হওয়া সড়কটি কর্নেল বাজার ও ইটনা গ্রামের মাঝ দিয়ে গেছে। আমাদের স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষক সড়কের ওপারের গ্রাম থেকে আসেন।

‘আমি নিজেও খারকুট গ্রাম থেকে দুই গ্রাম ঘুরে, দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে এসেছি। আমরা খুব বিপদে পড়ে গেছি। শনিবার কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারেনি। আজকে কয়েকজন এসেছে। যারা ওই পারে থাকে তাদের আসা বন্ধ।’

মনিয়ন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম দীপক বলেন, ‘যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে সড়কের দুই পাশের মানুষকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাঠদান থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুরই ক্ষতি হচ্ছে। চেষ্টা করছি যেন দ্রুত এই দুর্ভোগের অবসান ঘটানো যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর