সিলেট নগরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে বন্যার পানিতে সয়লাব বেশির ভাগ এলাকায় সরবরাহ চালু হয়নি। বিদ্যুৎ নেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে।
প্রায় ৬ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকার পর নগরের কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয় সন্ধ্যায়। শনিবার দুপুরে গ্রিড লাইনের উপকেন্দ্রে পানি ঢোকার ফলে অন্ধকার হয়ে যায় সমগ্র সিলেট।
শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে নগরের কুমারগাঁওয়ে উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো সিলেট। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার থেকেই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে সুনামগঞ্জসহ সিলেটের কয়েকটি উপজেলা।শনিবার মধ্যরাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় নগরের জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, নয়াসড়ক, নাইওর পুল, শাহী ঈদগাহ, টিলাগড়, বালুচরসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। তবে অন্ধকারে আছে নগরের বেশির ভাগ এলাকা।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির বলেন, ‘পানি সরিয়ে ও বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র আবার চালু করা হয়েছে। এখন নগরের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। তবে যেসব এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।’নগরের ৮০ শতাংশ এলাকায়ই পানিতে তলিয়ে আছে বলে জানান তিনি।এর আগে শুক্রবার সকালে কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি ঢুকতে শুরু করে। দিনভর সেনাবাহিনী, সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস সমন্বিতভাবে এই কেন্দ্রের চারপাশে বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করে। তবে প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও সচল রাখা যায়নি সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্র। পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দিতে হয় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি। ফলে জাতীয় গ্রিড লাইন থেকে সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।