বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কর নিয়ে পাচার অর্থ ফেরানো অন্যায়কে স্বীকৃতি দেয়া’

  •    
  • ১৮ জুন, ২০২২ ২০:০৯

ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘বাজেটে ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবটি বাতিল করা উচিত। ইতিপূর্বে  কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়াও খুব বেশি কার্যকর হয়নি। অর্থনীতি আরও মজবুত করতে  সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই।’ 

দেশে বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা অন্যায়কে স্বীকৃতি দেয়া বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ।

রাজধানীতে এক আলোচনায় শনিবার তিনি এ কথা বলেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি শনিবার এফডিসিতে আয়োজন করে ‘করোনার অভিঘাত উত্তরণে প্রস্তাবিত বাজেট’ নিয়ে ছায়া সংসদের বিতর্ক ও আলোচনা। সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. নাজনীন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বাজেটে ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবটি বাতিল করা উচিত। ইতিপূর্বে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়াও খুব বেশি কার্যকর হয়নি। অর্থনীতি আরও মজবুত করতে সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে ডলারের ওপর বোঝা না বাড়িয়ে ঘাটতি বাজেট পূরণে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে।’

তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে ঘাটতি রেখে ভর্তুকি দেয়া ভালো উদ্যোগ। তেলে ভর্তুকি সরকার দিক, তবে অকটেনে নয়। এটি ধনীরা বেশি ব্যবহার করেন। সেই টাকাটা বরং ডিজেল-কেরোসিনে দেয়া হোক। আর করোনার অভিঘাতের পরবর্তী সময়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা উচিত।’

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘দুর্নীতি বাজেট বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ব্যয় বৃদ্ধি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশে যাতে শ্রীলঙ্কার মতো কোনো শ্বেতহস্তী প্রকল্প তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ অর্থ পাচারকারীদের স্বার্থ দেখা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সামান্য কর গ্রহণের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তি সনদ দেয়া হচ্ছে। আমরা জানি না আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অজুহাতে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার নামে কাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তা বুঝতে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’

ঘাটতি বাজেট পূরণে সরকার যদি অভ্যন্তরীণ ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ গ্রহণ করে, তাহলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

এ বিভাগের আরো খবর