দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ১২২টি নমুনা।
পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ নিয়ে টানা তিন দিন পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি তথ্য দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার যত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার ৬ দশমিক ২৭ শতাংশে ভাইরাসটির উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এই হার গত ১১৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ৫ দশমিক ৭৬। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। দেশে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ টানা ১৮ দিন নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল। আগের দিন শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল ৪৩৩।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ জনে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৮০ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
এর বাইরে গাজীপুরে দুজন, চট্টগ্রামে ১২ জন, কক্সবাজারে আটজন ও সিলেটে একজন নতুন করে করোনা শনাক্তের খবর এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৭৫৮ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।