উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা। শহরের বিভিন্ন স্থাপনাতেও ঢুকে গেছে পানি। এখন হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে পানি ঢোকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নগরীর আম্বরখানা এলাকায় এই মাজারের পেছনে পায়রা আবাসিক এলাকার রাস্তায় প্রায় হাঁটুপানি জমেছে। ঢল ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি ঢুকতে শুরু করবে মাজারের ভেতরে।
মাজারের খাদেম ফতেহ মাহমুদ খান নিউজবাংলাকে জানান, মাজারে ঢোকার তিনটি গেট আছে। পেছনের গেটের সঙ্গের রাস্তায় পানি জমেছে। পানি এখনও এক থেকে দেড় ফুট নিচে রয়েছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে শনিবার রাতেই মাজারে পানি উঠতে শুরু করতে পারে।
করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর রোববার মাজারে ওরস আয়োজন করা হয়েছে। ওরসে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছেন শাহজালালের ভক্তরা।
খাদেম বলেন, ‘মাজারে পানি ঢুকলে ভক্তরা বিপাকে পড়ে যাবেন। পানি বেড়ে মাজারের পুকুরও তলিয়ে যেতে পারে। পুকুরে অনেক বড় বড় গজার মাছ আছে। এগুলো ভেসে যায় কি না সেই চিন্তা হচ্ছে।’
ওরস উপলক্ষে শাহজালালের মাজারে এসেছেন আশিকুন নূর।
তিনি বলেন, ‘আমি বাবার ভক্ত। প্রতি বছর ওরসে মাজারে আসি। দুই বছর করোনার জন্য ওরস হয়নি। তাই এবার এসেছিলাম কিন্তু বন্যার যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে মাজারেও পানি ঢুকে যাবে।’
সিলেটে গত বুধবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার তা ভয়াবহ রূপ নেয়। এ দিন বিকেল থেকে দ্রুত বাড়তে শুরু করে পানি। এতে সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকাই তলিয়ে গেছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলা। সড়কসহ এই দুই উপজেলার প্রায় পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কও পানির নিচে।
শুক্রবার বিকেলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট রেলস্টেশনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে সারা দেশের সঙ্গে আকাশ ও রেলপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেট।