শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যায় এক বৃদ্ধসহ দুই ব্যক্তির মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে বন্যার পানিতে নিখোঁজের পর শনিবার সকাল ৬টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক মরদেহ দুটি উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে নালিতাবাড়ীর নন্নী ইউনিয়নের উত্তরবন্দ এলাকায় নিজ ঘরে বন্যার পানিতে পড়ে থাকা ছেঁড়া তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের ৬০ বছরের কৃষক আশরাফ আলী এবং ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামের শেখ কাদের আলীর ছেলে ৩৩ বছরের রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম।
বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে নালিতাবাড়ীর নন্নী ইউনিয়নের ১৪ বছর বয়সী শিপন মিয়া। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
সদর ইউপি সদস্য মো. রকিব বাদশা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে কৃষক আশরাফ আলী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর কোনো একসময় বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে ভেসে যান তিনি। আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে ওই এলাকার শেষপ্রান্তে পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।’
ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাগেরভিটা গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম হাঁস ধরতে গিয়ে বন্যার পানিতে ভেসে নিখোঁজ হন। পরে আজ সকাল ৬টার দিকে বাগেরভিটা এলাকার বিলে মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।’
ঝিনাইগাতী থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেল থেকেই নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পরিবারসহ স্থানীয়রাও এতে যোগ দেন। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের খোঁজ না মেলায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়।
শনিবার সকালে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, ‘শুক্রবার রাতে শিপন মিয়া মাছ ধরে বাড়ি ফিরে ভেজা কাপড় বদলানোর জন্য ঘরে যায়। আগে থেকেই ঘরে হাঁটুসমান বন্যার পানি ছিল।
‘ঘরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকায় শিপন ঘরে ঢুকতেই বিদ্যুতায়িত হয়। উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’