টানা ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
জেলার ধরলা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে ৮ উপজেলায় ৩০ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
যে ৮ উপজেলায় বন্যা
জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর, মোগলবাসা, ঘোগাদহ, হলোখানা, পাঁচগাছি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর, বামনডাঙ্গা, নুনখাওয়া, বল্লভেসের খাস, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বুড়াবুড়ি,সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ,অষ্টমীর চর, রমনা, নয়ারহাট, চিলমারী সদর ইউনিয়নের মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
রৌমারী উপজেলার শৌলমারী, যাদুরচর, রৌমারী সদর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলার রাজিবপুর সদর, মোহনগঞ্জ, কোদালকাটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
ফুলবাড়ি উপজেলার ভাঙ্গামোড়, শিমুলবাড়ি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর বাইরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী, শিলখুড়ি, পাইকেরছড়া, বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নে ঢুকেছে বন্যার পানি।
বন্যায় অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও জেলায় তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
কী বলছে পাউবো
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদনদীর পানি বেড়েছে। ধরলা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া পয়েন্ট এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া রেল সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদনদীর অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানি বাড়তে পারে।