বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের জয়নগর ইউনিয়নে নির্বাচনের পর নৌকা প্রার্থী সেকান্দার আলী জাফরের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনির হোসেন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
মনিরের অনুসারীরা বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুখ বাঘা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজন সরদার, ফালান মোল্লা, কেফায়েত চৌধুরী, আরিফ সরদান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলমগীর মল্লিকের ঘরবাড়িতে হামলা ও তাদের মারধরের পাশাপাশি আজিজুল ফকিরের স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক সেকান্দার আলী জাফরের মেয়ে নামিয়া জাফর নাম্মী বলেন, ‘নির্বাচনের পরই আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই কর্মীর দোকান জয়নগর বাজারে বন্ধ করে দেয়। এরপর রাতে মনির হোসেন নিজে রামদা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসায় হামলা করে।
‘পুলিশকে জানানো হলেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। নির্বাচনের পর নৌকার সমর্থনকারী অনেকেই এলাকা ত্যাগ করেছেন জীবনের ভয়ে। আমরা জেলা আওয়ামী লীগকেও বিষয়টি জানিয়েছি। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয় পুড়িয়ে ফেলেছে মনির।’
এ বিষয়ে জানতে মনির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজিরহাট থানার ওসি মো. জুবাইর বলেন, ‘রাতে কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলার ঘটনায় আজিজুল ফকিরের দেয়া অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
‘চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’