বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলন’ করবে এলডিপি-বিএনপি।
রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে বৃহস্পতিবার বিকেলে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের বাসায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের একটি পার্লামেন্ট গঠন করার ব্যাপারে আমরা আন্দোলন করতে একমত হয়েছি।
‘আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর যুগপৎভাবে এই আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার যাকে এ দেশের জনগণ কেউই দেখতে চায় না, তার পতন ঘটিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’
বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই সংলাপ হয়। সংলাপে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ছিলেন।
এলডিপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান অলি আহমদ। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলম, নেয়ামূল বসির, আওরঙ্গজেব বেলাল, সাকলাইন খান ও সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
বৈঠকের পর অলি আহমদ বলেন, ‘বর্তমান যে সরকার আছে তারা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, দেশের জনগণ এক অস্বস্তিকর পরিবেশে বাস করছে। কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই, মৌলিক অধিকার নেই, ন্যায়বিচার নেই। একটা মগের মুল্লুকে আমরা বসবাস করছি। এ রকম অবস্থা দেশের মানুষের জন্য কাম্য নয়। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এই ধরনের লুটপাট-অর্থ পাচারের জন্য এ দেশ স্বাধীন করিনি।
‘আমরা চাই এই অবস্থার অবসান হোক। আমরা আজ সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হব।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে অনতিবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিও জানান অলি আহমদ।
গত ২৪ মে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি সংলাপ শুরু করে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রথম দফায় মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন, সাইফুল হকের বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেন।
এ ছাড়া ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাপ-ভাসানী ও মুসলিম লীগের সঙ্গেও সংলাপ শেষ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।