সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হয়।
আগামী ২৯ জুন থেকে শুরু হবে সাক্ষ্যগ্রহণ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল লতিফ।তিনি বলেন, ‘অস্ত্র আইনের ১৯(এ) (ফ) ও ২৩ ধারায় মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়েছে। আমরা আদালতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি, শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সময় বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছিল।
‘অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অস্ত্র আইনে করা মামলার চার্জ গঠন হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের মামলায় দুজন সাক্ষীর হাজিরা ছিল। তবে আদালত বলেছেন, ২৯ জুন থেকে দুটি মামলার বিচার একসঙ্গে চলবে।’
আইনজীবী আব্দুল লতিফ জানান, অভিযোগপত্রে থাকা ৫০ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। ৯ আসামি পলাতক। বাকিরা চার্জ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই এই হামলা হয়েছে।এই মামলার দণ্ডবিধি ধারায় (হামলা মামলা) ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন বিচারক।
২০১৭ সালের ১০ জুন বিস্ফোরক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।