যুবলীগ নেতা মাজেদুর রহমান মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছে দিনাজপুরের পুলিশ। পরিচিত লোকজনই তাকে কুপিয়ে খুন করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার আমতলী বাজারে সোমবার রাত দেড়টার দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন মাজেদুর রহমান। তিনি শেখপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
নিহতের বাবা আজিমুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার বিকেলে মাজেদুর বাড়ি থেকে বের হয়। কালির বাজার এলাকার ভবতিশের ছেলে শান্ত তাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ১টার দিকে মাজেদুরের সাথে আমার কথা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই শান্ত ফোন করে হাসপাতালে যেতে বলে।
‘হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মরদেহ দেখতে পাই। আমার ছেলের বিরোধ ছিল না। কারা আমার ছেলেকে মেরেছে তা শান্ত বলতে পারবে। ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
স্বজনরা জানান, মাজেদুর রহমানের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের রেলঘুন্টি এলাকায়। ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃত্ব দেয়ার আগে তিনি একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি রাইসুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন।
মাজেদুরের বন্ধু রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যা পরিকল্পিত, হামলায় অংশ নিয়েছে অন্তত আটজন। শান্ত তাদের মধ্যে চারজনকে চিনতে পেরেছে।’
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাজেদুর ফুলবাড়ী উপজেলার উসাহার পানিকাটা গ্রামের মাদক কারবারি হাফিজুর রহমানের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। মাদক কারবার ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে তাদের বিরোধ হয়।
‘কয়েক দিন আগে হাফিজুর গ্রুপের একজনকে বিজিবি মাদকসহ আটক করে। এ ঘটনায় মাজেদুরকে দোষারোপ করে হাফিজ। একটি প্রাইভেট কার নিয়েও তাদের ঝামেলা চলছিল। পুরোনো নানা বিরোধ নিয়ে সোমবার রাতে আমতলী মোড়ে মাজেদুর ও হাফিজুরের কথা-কাটাকাটি হয়। তারই একপর্যায়ে খুনের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে এসব তথ্য জানা গেছে।’
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার বলেন, ‘খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্দেহভাজন চারজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’