আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাসমূহে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে।’
জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা বাদে দেশের সকল উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দিতে সরকার প্রতি বছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভর্তুকি দেয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।
নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরে জানুয়ারি ২০২২-এ মজুদের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
এবাদুল করিমের আরেক প্রশ্নে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। আর দৈনিক চাহিদা তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন। ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস কূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।
চট্টগ্রামের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানান, কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদিত চার হাজার ৯৫ মেট্রিক টন কাগজ অবিক্রিত রয়েছে।