উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে দ্বীপ জেলা ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্লাবিত হয়েছে মেঘনার উপকূলবর্তী সদরের নাছির মাঝি, রাজাপুর, মনপুরার চরনিজাম, কলাতলীর চর, চরযতিন, চরজ্ঞান, চরফ্যাশনের কুকরিমুকরি, ঢালচর, চরপাতিলা, মাঝেরচর, চরশাহজালাল, কচুয়াখালীর চরসহ অন্তত ২০টি নিচু এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কুকরি-মুকরি ও ঢালচরের অনেক বাসিন্দাও।
দুর্ভোগের কথা জানিয়ে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সফিজল মাঝির এলাকার হারেছ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্ষা এলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বর্ষায় জোয়ারের পানি বেড়ে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। পানির কারণে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারি না।
‘বর্ষায় গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার অবস্থাও থাকে না। ঘরের চুলা পর্যন্ত ডুবে যায়। রান্না, খাওয়া সব বন্ধ হয়ে যায়। সরকার একটা রিংবেড়ি দিলে আমাদের এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা হত।’
ভোলা পাউবো ডিভিশন-২ এর প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উজানের পানির চাপে ও মেঘনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আরও কিছুদিন এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে।’