রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। তারা ঝরে পড়েছেন বলে জানিয়েছে বোর্ডসংশ্লিষ্টরা।
আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে কেন্দ্র সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম এই তথ্য দেন।কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে শনিবার সকালে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভার আয়োজন করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম তার বক্তব্যে জানান, বোর্ডের অধীনে বিভাগের আট জেলায় এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ জন এবং ছাত্রী ৯৫ হাজার ৬৫ জন।তিনি আরও জানান, এসএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধিত মোট শিক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জন। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৫১ জন। অর্থাৎ বাকি ২৯ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।প্রত্যেক জেলা থেকে কেন্দ্র সচিবরা মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের বক্তব্যে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কারিগরি সমস্যার বিষয়টি উঠে আসে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এসব বিষয়ে কেন্দ্র সচিবদের দিকনির্দেশনা দেন।করোনাকালীন শিক্ষার্থীরা নানামুখী সমস্যায় ছিল উল্লেখ করে সভায় বোর্ড চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই অসুবিধায় না পড়ে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া কক্ষ পরিদর্শকরা যেন পরীক্ষা কক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন, উচ্চস্বরে বকাঝকা না করেন এ বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে রাখার জন্য কেন্দ্র সচিবদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দিকে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য কেন্দ্র সচিবদের অনুরোধ করেন তিনি।প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার কারণ জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মুঞ্জুর রহমান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাকালে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। আবার এই সময়ে অনেক ছাত্র কাজে জড়িয়ে পড়েছে। আর কাজ করতে গিয়ে তারা অনেকেই পড়াশোনা বাদ দিয়েছে বলে আমরা জেনেছি।’এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৯ জুন। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৬ জুলাই।